শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ গতবছর দেশের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ছিলো ক্যাসিনো। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর সামনে আসে ক্যাসিনো ব্যবসার কথা। দেশে এই ব্যবসা চলমান রয়েছে একথা এর আগে অনেকেই জানতেন না। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এলোমেলো জনজীবন। আর এই সুযোগে ধামাচাপা পড়েছে ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা ঘটনা।
ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া সম্রাট-জি কে শামীম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে কাশিমপুর কারাগার ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত পাপিয়া ওরফে পিউ এখন কাশিমপুর কারাগারের নির্জন কক্ষে বন্দি।
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। পরদিনই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ পর মাদক, অস্ত্র ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি সম্রাটকে নেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। ২৪ নভেম্বর বুকে ব্যথার কথা বলে কারাগারের চিকিৎসকের পরামর্শে আবারো তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
বিএসএমএমইউ এর হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার চৌধুরী মেশকাত আহম্মেদ বলেন, তাৎক্ষণিক যে সমস্যাটা হচ্ছে, তার যে হৃদরোগ সমস্যা তা আমরা ওষুধ দিয়ে ঠিক করতে পারিনি। আমরা তাদের বলছি, তাকে এমন কোথাও নেয়া হোক যেখানে তার হৃদস্পন্দন সমস্যার চিকিৎসা হয়।
এদিকে, অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন বহুল আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম। অভিযানের সময় বহু টাকা, মাদক, অস্ত্র ও দেহরক্ষী নিয়ে শামীমকে গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশে আলোচনার জন্ম দেয়। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনিও।
অভিযোগ আছে, বেশিদিন হাসপাতালে থাকার অজুহাত হিসেবে, শামীম তার ভাঙা ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে প্লেট সরাতে রাজি নন। অন্যদিকে, ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের সাবেক নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া কাশিমপুর কারাগারের বন্দি রয়েছে।
এছাড়ও, আমোদ-প্রমোদ আর তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক ব্যবসার আয়ে বিলাস-ব্যসনে চলা আলোচিত নারী নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এখন কাশিমপুর কারাগারের। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে র্যাবের রিমান্ডের মাঝপথে তাকে কাশিমপুর কারাগারের হাজতে পাঠানো হয়। দুই দফা ২০ দিনের রিমান্ড শেষে ছোট্ট সেলে নিঃসঙ্গ পাপিয়ার আরো ১০ দিনের রিমান্ডের অপেক্ষা।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সংবেদনশীল আসামি হওয়ায় পাপিয়াকে রাখা হয়েছে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ একটি সেলে। তার সঙ্গে আর কোনো বন্দি নেই। দিন-রাত একাকি কাটে ছোট্ট কক্ষের চার দেয়ালে। মাঝে মাঝে বই পড়তে দেখা যায় তাকে। বাকি সময় শুয়ে-বসে আর ঘুমিয়েই কাটান একসময়ের পাঁচতারকা হোটেলের বিলাসী গ্রাহক পাপিয়া।
Leave a Reply